জাদুকরী চায়ে ৭ দিনেই বানান আকর্ষণীয় ফিগার


বর্তমান সময়ে স্থূলতা একটি কমন সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষের বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের চেষ্টার কমতি নেই। তাই বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ওজন কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিউ যাচ্ছেন জিমে, কেউ বিভিন্ন ধরনের ডায়েট ফলো করছেন, কেউবা সকাল-বিকাল শরীর চর্চা বা হাঁটাহাঁটি করছেন।

তবে একটি বিশেষ পানীয় আপনার স্থূলতা কমাতে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে করে তুলবে আরো আকর্ষণীয়, আর এর ফলাফল বুঝতে পারবেন এক সপ্তাহের মধ্যেই।

ঘুমানোর আগে নিয়ম করে এই পানীয় পান করলেই অতিরিক্ত ওজন থেকে পরিত্রাণ মিলতে পারে বলে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফরমুলার মাধ্যমে জানা যায়। আর সেটি পান করতে হবে ঘুমানোর আগে।

জাদুকরীভাবে ওজন কমানোর পানীয় দারুচিনি চা:

বলা হয়ে থাকে, দারুচিনি হলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মসলা। এর রয়েছে দারুণ ভেষজ গুণ। বিশ্বজুড়ে গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনিতে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং এন্টিবায়োটিক। দারুচিনি কার্যকরভাবে ইনসুলিনের কাজ করে। সে অর্থে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী একটি মসলা। দারুচিনি দেহের এলডিএল বা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

দারুচিনি পাকস্থলীর ভেতরের খাবারের চলাচলকে ধীর করতে সাহায্য করে। এর ফলে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এই এটি বেশ উপকারী। এই মসলাটি বিপাকক্রিয়াও পরিবর্তিত করতে পারে। যার ফলে দেহ তার অতিরিক্ত শর্করাকে চর্বিতে পরিণত হতে না দিয়ে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়। তাই নিয়মিত এর নির্যাস পান করলে দেহের অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে দারুচিনির পানি খেলে উপকার পাওয়া যাবে বেশি।

দারুচিনির চা তৈরি পদ্ধতি:

১. দারুচিনি গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ,
২. খাঁটি মধু দেড় টেবিল চামচ এবং
৩. পানি ২ গ্লাস

প্রথমে ২ গ্লাস পানি ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। তারপর সেটাতে দেড় টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এক গ্লাস সকালে খালি পেটে আর এক গ্লাস রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। সকালে খাওয়ার পর বাকি এক গ্লাস যদি ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে রাতে যখন পান করবেন, তার আধা ঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন, তারপর পান করুন।

সতর্কতা: সবকিছুরই ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। একটানা বা ছয় সপ্তাহের বেশি দারুচিনির চা পান করবেন না। একটানা পান করতে চাইলে সপ্তাহে পাঁচ দিন পান করে দুই দিন বন্ধ রাখতে পারেন। এ ছাড়া যাদের কিডনি ও লিভারের রোগ রয়েছে তারা পান করবেন না। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারাও শর্করার মাত্রা চেক করে তারপর পান করবেন। অনেকের অ্যালার্জি থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে একটানা না খেয়ে বিরতি দিয়ে পান করুন।